Wellcome to National Portal
এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানী লিমিটেড শতভাগ সরকারী মালিকানাধীন কোম্পানী
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ইতিহাস ও কার্যাবলি

এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানী লিমিটেড (ইডিসিএল) বাংলাদেশের একটি ১০০% রাষ্ট্র মালিকানাধীন ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি। জনস্বাস্থ্য ও মসৃণ চলমান স্বার্থে ১৯৬২ সালে এটি সরকারি ফার্মাসিউটিক্যালস ল্যাবরেটরি (জিপিএল) নামে কেন্দ্রীয় সরকাররের অধীনে কাজ শুরু করে এবং পরবর্তীকালে ১৯৭৯ সালে ফার্মাসিউটিক্যালস উৎপাদন ইউনিট (পিপিইউ) হিসেবে পুনঃনামকরণ করা হয়। কোম্পানি আইনের অধীনে ১৯৮৩ সালে একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয়। বাংলাদশে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় ভাবে ঔষধ উৎপাদনের জন্য দেশে একটি উন্নত ওষুধ শিল্প স্থাপনের প্রধান উদ্দেশ্যে এবং রপ্তানিতে জন্য ১৯৮৩ সালে এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেড নামে পুনঃনামকরন করা হয়। সরকারী এই ঔষধ কোম্পানী বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে গেছে। বর্তমানে কোম্পানীর অনুমোদিত মুলধন ২০০.০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১০০.৯২ কোটি টাকা, প্রতি শেয়ারের মূল্য ১০/= টাকা। এর প্রধান উদ্দেশ্য উন্নতমানের ঔষধ উৎপাদন করে সাশ্রয়ী মূল্যে সরকারি হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা। কোম্পানীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত উৎপাদিত ঔষধ সরকারি হাসপাতাল, সিভিল সার্জন অফিস, সরকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি এবং আন্তর্জাতিক (অমুনাফা কারি) প্রতিষ্ঠান যেমন, ইউনিসেফ, হু, আইসিডিডিআরবি ইত্যাদিতে ঔষধ সরবরাহ করা হয়েছে। কোম্পানির আর্থিক বছর ২০১৩-১৪ সালে প্রায় ৪২৬.০০ কোটি টাকার বিভিন্ন ড্রাগস ও গর্ভনিরোধক পণ্য উৎপাদন করা হয়েছে। এর বর্তমান জনবল আনুমানিক ২৬০০। জাপানি গ্রান্ট এর মাধ্যমে ১৯৮৫ সালে বগুড়াতে এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেড নামে আরো একটি প্লান্ট চালু হয়। এটি বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, সিভিল সার্জন অফিস, সরকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা সমুহে প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ করে আসছে। সেফালোস্পোরিন প্রকল্প- এটি বগুড়ার অন্য ইউনিট যাহা শীঘ্রই বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে যেখান থেকে প্রতি ঘন্টায় ১৮০০ ভায়েল উৎপাদন করা সম্ভব হবে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকার খুলনায় কেইএলপি (খুলনা এসেনসিয়াল ল্যাটেক্স প্লান্ট) নামে একটি কনডম কারখানা স্থাপিত করে যেটি এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেডেরই একটি অন্যতম ইউনিট। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা প্রাথমকিভাবে বছরে ১৫০ মিলিয়ন পিস ইনস্টল করা হয়েছে এখন এর উৎপাদন প্রতি বছরে আনুমানিক ২৪৯.৬০ মিলিয়ন পর্যন্ত হয়ে থাকে। উৎপাদিত কনডম মহাপরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিতরণ করা হয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানী করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।

এছাড়াও খুলনা এসেনসিয়াল লেটেক্স প্রকল্পের অধিনে টাঙ্গাইল জেলা মধুপুরে একটি ল্যাটেক্স প্রসেসিং প্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠিত করা হয়। স্থানীয়ভাবে উন্নতমানের রাবারকষ সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাত করার পর খুলনা কেইএলপিতে সরবরাহ করা হয়।

ইডিসিএল গোপালগঞ্জে ”ইডিসিএল (৩য় প্রকল্প)” নামে একটি প্রকল্প স্থাপন প্রকৃয়াধীন যেখান থেকে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন, আইভি ফ্লয়েড, পেনিসিলিন পণ্য, জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি উৎপাদিত হবে। এই প্রকল্পের আনুমানিক খরচ টাকা ৫৯৭,২৮ কোটি যাহা জিওবি ফান্ড থেকে ব্যয় করা হবে। এই প্রকল্পটি ২০১৫ সালে উৎপাদনে যাওয়ার সময় নির্ধারন করা হয়েছে।